top of page

LGED PRELIMINARY QUESTION ANALYSES

এলজিইডি নিয়োগ প্রস্তুতি (বিস্তারিত)
এলজিইডি নিয়োগ প্রস্তুতি (বিস্তারিত)

.

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর মেগা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।

তিন ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা হয়ে থাকে। আবেদনকারী প্রার্থী ১ হাজার জনের বেশি হলে প্রথমে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হলে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।সর্বশেষ ১০০ নম্বরের ভাইভা পরীক্ষা হবে। আর আবেদনকারী প্রার্থী ১ হাজার জনের কম হলে শুধু ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে (তবে এলজিইডির নিয়োগ এর ক্ষেত্রে ১০০০ এর কম প্রার্থী হবেনা, সুতরাং প্রিলি,রিটেন তারপর ভাইভা হবে) ।

.

প্রিলিমিনারি তে মোট ১০০ নম্বরের MCQ পরীক্ষা হবে। যার মধ্যে টেকনিক্যাল (সিভিল) অংশে থাকবে ৪০ নম্বর এবং নন-টেকনিক্যাল অংশে থাকবে ৬০ নম্বর।

.

 #নেগেটিভ_মার্কিংঃ প্রতিটি MCQ প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য থাকবে ০১ নম্বর, আর প্রতিটা ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর করে কাটা যাবে। তাই সাজেশন থাকবে যতটুকু জানেন ততটুকুই উত্তরে করে আসা, ধারনার উপর ভুল উত্তর দাগিয়ে পিএসসি এর প্রিলি পাশ করা সম্ভবপর না।

.

 #কাট_মার্কসঃ  প্রিলিমিনারিতে নির্দিষ্ট কোন কাট-মার্কস নেই। এটা মূলত নির্ভর করবে প্রশ্নের ধরন, পরীক্ষার্থী সংখ্যা ইত্যাদির উপর। প্রশ্ন যদি সহজ হয়য় তাহলে কাট-মার্কস হবে বেশী ,আবার প্রশ্ন যদি কঠিন হয় তাহলে কাট-মার্কস হবে কম।

.

#কতজন_টিকাতে_পারেঃ  প্রিলিমিনারি তে সাধারনত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদ সংখ্যার প্রায় ১০-১৫ গুনের ও বেশী টেকায় । ২০১৯ সালের সার্কুলারে ২০৮ জনের শূন্য পদের বিপরীতে প্রিলিমিনারি তে টিকিয়েছিলো ৩৪৩২ জন। এবারের ১৮১ জনের সার্কুলারের প্রিলিমিনারি তে সর্বসাকুল্যে ২৫০০+ টিকাতে পারে তবে এটা কম বেশী হতে পারে। আর কাটমার্কস এর হিসাবে আসলে এটা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না তবে ৬৫-৭০ মার্কস সেইফ জোন ধরা যেতে পারে।

.

BPSC নিয়োগ পরীক্ষায় প্রিলিমিনারি অংশ দুই ভাগে ভাগ করা থাকে

১। টেকনিক্যাল অংশ ২। নন-টেকনিক্যাল অংশ

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে নন-টেকনিক্যাল অংশ। এই অংশে থাকবে ৬০% নম্বর।

.

· নন-টেকনিক্যাল অংশের মানবন্টন

নন-টেক অংশে মোট নম্বর থাকে ৬০ যার মধ্যে

বাংলা= ২০

ইংরেজি= ২০

সাধারণ জ্ঞান = ২০

.

বাংলাঃ (২০ নম্বর)

বাংলাতে মোট ২০ নম্বর থাকে। বিগত প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গতানুগতিক প্রশ্ন কম হয়। তাই প্রস্তুতি নেওয়ার সময় কেবল ডাইজেস্ট বা বিগত সালের প্রশ্ন সমাধান করলেই হবেনা বরং যেকোন টপিক সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে।

বাংলা সাহিত্যে প্রস্তুতির জন্য জর্জ MP3 পড়লে ভালো একটা প্রস্তুতি হয়ে যায় এর পাশাপাশি আরো ভালো প্রস্তুতির জন্য অগ্রদূত এবং সৌমিত্র শেখর স্যারের ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ বই দেখা যেতে পারে। ব্যাকরণের জন্য বিগত বছরের প্রশ্ন ভালোভাবে সমাধান করতে হবে। তা ছাড়া পুরোনো ভার্সনের নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ এবং ড. হায়াৎ মামুদের ভাষা শিক্ষা বই থেকে সিলেবাসের সঙ্গে মিলিয়ে পড়া ভালো।

.

 ইংরেজীঃ (২০ নম্বর)

 ইংরেজীতে সাহিত্য অংশের তুলনায় গ্রামার অংশের প্রশ্ন বেশী থাকে। গ্রামারের জন্য বিগত প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ বিশ্লেষণ করে পড়তে হবে। গ্রামার ও ভোকাবুলারি অংশের অনুশীলনের জন্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রচিত " MASTER for Competitive Exams বইটি পড়া যেতে পারে।

.

বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বাংলাদেশ অংশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান এবং বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখতে হবে। এই অংশের জন্য George Mp3 বাংলাদেশ বিষয়াবলী বইটি পড়া যেতে পারে অথবা Basic view বই অনুসরণ করা যেতে পারে। পাশাপাশি জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর জন্য নিয়মিত পত্রিকা পড়া ভালো।

.

আন্তর্জাতিক: এই অংশে ভালো করার জন্য Basic view অথবা mp3 বইটি অনুসরণ করা যেতে পারে। তা ছাড়া নিয়মিত পত্রিকা পড়া যেতে পারে।

.

সাম্প্রতিক বিষয়: সাম্প্রতিক অংশে ভালো করার জন্য Recent view বইটি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া দৈনিক পত্রিকা ও মাসিক কারেন্ট এফেয়ার্স পড়তে পারেন

.

নন-টেকনিক্যাল অংশের #অন্যান্য_দিকঃ

বেসিক প্রিপারেশন এর পাশাপাশি, নন-টেকনিক্যাল অংশে ভালো করার জন্য বিগত সালের প্রশ্ন সমাধান করতে হবে। শুধুমাত্র এলজিইডি না বরং বিপিএসসি কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করতে হবে

- ৩০-৪৬ তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান

- প্রফেসরস পিএসসি নন-ক্যাডার জব সলিউশন

- যেকোন ডাইজেস্ট থেকে ফাইনাল রিভিশন

.

.

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে টেকনিক্যাল (সিভিল) অংশ। এই অংশে থাকবে ৪০% নম্বর। সুতরাং প্রিলি পাশ করতে হলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অংশে।

.

 সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অংশের MCQ প্রস্তুতির জন্য Civil Engineering by RS Khurmi এর বইটা কে বেসিক ধরে পড়তে হবে। এই বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টার গুলো ভালো করে বুঝে বুঝে পড়তে হবে। তবে এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড (IS Code) অনুযায়ী যে উত্তর গুলো দেওয়া থাকে তা BNBC অনুযায়ী জেনে নিতে হবে।

.

 RS Khurmi এর বইয়ের পাশাপাশি Indiabix, Examveda ওয়েবসাইট থেকেও পড়তে পারেন

.

 পিএসসি কর্তৃক গৃহীত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভিন্ন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলীদের বিভিন্ন নিয়োগ প্রশ্নের কম্পাইল একটা বই পাওয়া যায় নীলক্ষেতে সেটা থেকে বিগত প্রশ্ন গুলো পেতে পারেন ।তবে এগুলো নিজে উত্তর খুঁজে পড়ার চেষ্টা করবেন কারন এই বই গুলোতে অনেক ভুল থাকে

 প্রিলির পর রিটেন এর প্রস্তুতি নেওয়ার মতো খুব বেশী একটা সময় পাওয়া যায়না। গতবার প্রিলিমিনারি রেজাল্টের এক মাস পর লিখিত পরীক্ষা হয়।


 
 
 

Comments


bottom of page